BANNER

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এই খাবারগুলো খেতে পারেন

উম্মে সালমা তামান্না, পুষ্টিবিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা

সংগৃহিতঃ প্রথম আলো: ১৩ জুন ২০২৩ 

অনেকেই কমবেশি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। কারও কারও ধারণা, ওষুধ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু জীবনযাপনের ধরন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যা সহজেই দূর করা যায়। 


শাকসবজি: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আঁশযুক্ত খাবারের কোনো বিকল্প নেই। আর শাকসবজি হলো আঁশের সবচেয়ে ভালো উৎস। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় তাজা মৌসুমি শাকসবজি রাখুন। সবজির মাঝে লাউ, পেঁপে, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স রাখুন। খাবার তালিকায় সালাদ রাখুন প্রতি বেলায়। শসা ও কাঁচা পেঁপের সালাদ খুব উপকারী। শসায় ৯৪ শতাংশ পানি থাকে, যা মল নরম করতে সাহায্য করে।

কলা: কলায় প্রচুর আঁশ রয়েছে। তাই যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সকালের নাশতায় একটি করে পাকা কলা রাখুন।

আপেল: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে নিয়মিত খোসাসহ আপেল খান। আপেলের খোসায় পর্যাপ্ত আঁশ রয়েছে, যা মল নরম করে।

নাশপাতি: প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে আমাদের দৈনন্দিন আঁশের চাহিদা ২২ শতাংশ পূরণ হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।

ইসবগুলের ভুসি: ইসবগুলের ভুসি প্রাকৃতিকভাবেই মল নরম করতে, মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ও সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় আঁশ রয়েছে, যা প্রচুর পানি শোষণ করে। সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একইভাবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সকালে মলত্যাগে কোনো সমস্যা হয় না। তবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সারা দিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। না হলে ইসবগুলের ভুসি শরীর থেকে পানি শোষণ করে মলত্যাগ আরও কষ্টসাধ্য করে তুলবে।

তোকমা: তোকমাও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে উপকারী একটি খাবার। তোকমা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ঘণ্টাখানেক পর খেতে পারেন। এতে পুষ্টিগুণ বেশি পাওয়া যায়। চাইলে পানির পাশাপাশি ফল বা লেবুর শরবতে ভিজিয়ে রেখেও তোকমা খাওয়া যায়।

টক দই: টক দই প্রোবায়োটিকসম্পন্ন খাবার, যা হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই খাবার খাওয়ার পর দুই থেকে তিন চামচ টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।

এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সারা দিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

কী খাওয়া যাবে না

ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

প্রক্রিয়াজাত খাবার ও হিমায়িত খাবার খাবেন না।

লাল মাংস খাওয়া যাবে না।

ফুল ক্রিম বা পূর্ণ ননিযুক্ত দুধ ও পনির খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

No comments

Theme images by compassandcamera. Powered by Blogger.