BANNER

প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কেজি আম খাই’—এটা কি সমস্যা?

ডায়েট, ব্যায়াম ও ওজন কমানো–বাড়ানো নিয়ে পাঠকদের নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান শামছুন্নাহার নাহিদ।

সংগৃহিতঃ প্রথম আলো: ১৪ জুন ২০২৩



প্রশ্ন: বাজারে এখন নানা ফল পাওয়া যায়। কিন্তু সব ফল খেতে আমার ভালো লাগে না। আমি শুধু আম এবং ড্রাগন ফল খাই। তবে বেশি খাই আম। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কেজি আম খাই। ছুটির দিনে এক বসায় চার কেজি আমও খেয়েছি এবার। এতে কি আমার কোনো সমস্যা হতে পারে? আমার ডায়াবেটিসের সমস্যা নেই, ওজন ১০ কেজি বাড়তি।

 উত্তর: এখন ফলের মাস, ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একটা আমে প্রায় একটা রুটির সমান শর্করা ও ক্যালরি থাকে। তবে রুটির থেকে আমে চিনি বেশি থাকে। পাশাপাশি ফাইবার (আঁশ), পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি, কে মেলে আম থেকে। তাই আম আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও হজমের ক্ষমতা বাড়ায়। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। আম খেলে ত্বক-চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা যায় সহজে। ঘুম ভালো হয়। কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও চমৎকার কাজ করে আম। তবে অনেক বেশি পরিমাণে আম খেলে কিছু সমস্যাও হতে পারে। আমে চিনি ও ক্যালরি বেশি থাকার কারণে আপনার ওজন বাড়তে থাকবে। যেমন ১০০ গ্রাম আমে প্রায় ৬০ ক্যালরি আছে, ১ কেজিতে ৬০০, ৪ কেজিতে ২ হাজার ৪০০ ক্যালরি, যা হয়তো আপনার সারা দিনে শরীরের মোট ক্যালরির সমান। এদিকে আপনি যদি শুধুই আম খেয়ে বাকি সব খাবার বাদ দেন, তাহলে শুধু ক্যালরির চাহিদা পূরণ হবে কিন্তু অন্য পুষ্টির (প্রোটিন, ফ্যাট এবং আমে না থাকা ভিটামিন, মিনারেল) অভাবজনিত সমস্যা হবে। অন্যদিকে অন্য সব খাবারের পাশাপাশি এতগুলো করে আম খেতে থাকলে হজমে সমস্যা, ডায়রিয়া, পেটব্যথা হবে। অন্যদিকে ড্রাগন ফলে ক্যালরি কম কিন্তু ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবারসহ গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে (বিটা-ক্যারোটিন, পলিফেনল) ভরা, যা আমের মতোই শরীরে পুষ্টি জোগাতে কাজ করে।

তাই সবার জন্য একই পরামর্শ—কোনো একটা খাবার একবারে যেমন বেশি খাওয়া ঠিক নয়, তেমনি আবার পুরোপুরি বাদ দেওয়াও যাবে না। উভয়ই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। খাবার খেতে হবে আনুপাতিক পরিমাণে।

No comments

Theme images by compassandcamera. Powered by Blogger.